জেনে নিন গাড়ি যত্নে রাখার ৮টি সহজ কলা-কৌশল! (Car Maintenance Tips)

আপনি মার্কেট থেকে পছন্দ করে সেরা গাড়িটি কিনলেন। কিন্তু সেই গাড়িটিই যত্নের অভাবে যখন নস্ট, বিবর্ণ হতে বসে! তখন তো অবশ্যই মন খারাপ হতে বাধ্য। তবে যদি সঠিকভাবে গাড়ির যত্ন নেয়া যায়। তবে আপনার পুরনো গাড়িটিও নতুন গাড়ির মতো চকচক করবে। এক্ষেত্রে গাড়ির যত্ন নেয়াটাও প্রথম প্রথম খুব ঝামেলার মনে হতে পারে। কিন্তু উপযুক্ত যত্ন নিলে গাড়ি বেশিদিন ভালো থাকবে। এছাড়াও গাড়ির সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভিটিএস (Vehicle Tracker) ব্যবহার করলে, গাড়ি নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করতে হবে না। আসুন জেনে নিই গাড়ি যত্নে রাখার কিছু সহজ কলা-কৌশল!

নিয়মিত গাড়ি পরীক্ষা করুন

নিয়মিত আপনার গাড়ির ট্রেডয়ের গভীরতা পরীক্ষা করুন। আপনার গাড়ির ব্যাটারির টার্মিনালগুলো প্রতিনিয়ত চেক করে দেখুন। সেগুলো পরিষ্কার ও টাইট আছে কিনা। আপনি যদি আপনার ব্যাটারিতে ডিস্টিল্ড পানি রিফিল করেন। তবে অবশ্যই তার সঠিক ইলেক্ট্রোলাইট লেভেল নিশ্চিত করুন। সপ্তাহে একদিন গাড়ি ধোয়ার সময় টায়ারগুলোও ভালোভাবে ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে রাখুন। আর এর ফলে টায়ার পরিষ্কার ও নিরাপদে থাকবে।

গাড়ির চাকা সঠিক পরিমান উঁচু কিনা তাই দেখুন

একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ু চাকার ভিতর থাকে। এটার পরিমাণ কম হয়ে গেলে চাকার অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই চাকার ভিতর কতটুকু বায়ু আছে তা পরীক্ষা করে দেখুন। হুইল এলাইনমেন্ট নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করা এবং কারেক্ট করে রাখলে চাকার ক্ষয় রোধ হবে। আপনার নতুন গাড়িটি হুইল এলাইনমেন্ট বছরে একবার কারেক্ট করবেন।

ইঞ্জিনের বেল্ট পরীক্ষা করুন

ইঞ্জিনের বেল্টগুলোর কপিকল নষ্ট হয়ে গেছে কিনা খেয়াল করুন। ইঞ্জিনের কোনার কাছে কিছুটা ঘষা লাগলে এগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। গাড়িতে যদি টাইমিং বেল্ট থাকে আর এটা যদি নষ্ট হয়ে যায়। আর তাহলে এটা গাড়ির ইঞ্জিনের অনেক ক্ষতি করতে পারে। সুতরাং সময় থাকতে গাড়ির টাইমিং বেল্টের যত্ন নিন।

গাড়ির তেলের পরিমাণ চেক করুন

তেলের পরিমাণ পরীক্ষা করার জন্য ডিপস্টিক খুঁজে বের করতে হবে। ডিপস্টিকের কালার অধিকাংশ ক্ষেত্রে উজ্জ্বল হলুদ হয়। ডিপস্টিকের সাহায্যে গাড়ির তেলের পরিমাণ চেক করে কতটুকু তেল লাগবে সেটা জানা যাবে। তেল লিক করে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর তাই তেলের লেভেল চেক করাটা জরুরী। এক্ষেত্রে প্রহরী ভিটিএস (Vehicle Tracker) আপনাকে ফুয়েল মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে তেলের লেভেলের পরিমাণ সম্পর্কে মুঠোফোনে তথ্য দিবে।

গাড়িতে কুল্যান্ট এবং ব্রেক ফ্লুয়েড রাখুন

গাড়ির হুডের নিচে কুল্যান্ট এবং ব্রেক ফ্লুয়েডের সংগ্রহশালা থাকে। লাইন দেয়া কন্টেনারগুলোতে নির্দেশনা থাকে যে এগুলো থেকে কতটুকু দরকার। কুল্যান্ট ইঞ্জিনের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ব্রেক ফ্লুয়েড ব্রেককে এঞ্জেজ করে যখন প্যাডেলে চাপ দেয়া হয়।

গাড়ির হেড লাইটসহ অন্য লাইটগুলো চেক করুন

হেডলাইট রাতে দেখতে সহায়তা করে। আর অন্য লাইটগুলো অন্য গাড়ির ড্রাইভারদের গাড়ির উদ্দেশ্য বুঝাতে সাহায্য করে। তাই গাড়ির লাইটগুলো খুবই জরুরী। নিজে গাড়িতে বসে ড্রাইভার বা অন্য কাউকে বাইরে দাঁড় করিয়ে গাড়ির বাতিগুলো চেক করুন। এবং যদি দেখেন গাড়ির কোন লাইট নষ্ট তাহলে তা সাথে সাথেই পরিবর্তন করে ফেলুন।

ড্যাশবোর্ড ওয়ার্নিং লাইট

প্রত্যেক গাড়িতে কিছু ওয়ার্নিং লাইট থাকে। এগুলো বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কতা প্রদান করে। আর তা হল-লো টায়ার প্রেশার, গাড়ির ইঞ্জিনের অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি। এইরকম কোন লাইট যদি ওয়ার্নিং সিগন্যাল দেয়। তবে গাড়ি থামিয়ে সমস্যাটা সমাধান না করা পর্যন্ত গাড়ি চালাবেন না।

ব্যাটারি পরিস্কার এবং সুরক্ষিত রাখুন

অধিকাংশ আধুনিক ব্যাটারির খুব অল্প যত্ন লাগে। কিন্তু একটুখানি যত্ন গাড়ির ব্যাটারির লাইফ বর্ধিত করে দিতে পারে। ব্যাটারির টার্মিনালগুলো সবসময় পরিস্কার রাখুন। এবং ক্ষয় হয়ে যাতে না যায়, সেই ব্যবস্থা করুন। ব্যাটারির ফ্লুয়েড লেভেল কিছু ক্ষেত্রে চেক করতে হতে পারে। অনিরাপদ ব্যাটারির ভাইব্রেশনে ব্যাটারির আয়ু কমে যেতে পারে। সুতরাং সতর্কতার সাথে গাড়ির ব্যাটারির যত্ন নিন। এছাড়াও গাড়ির সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভিটিএস (Vehicle Tracker) ব্যবহার করুন।

আরও দেখুনঃ বাংলাদেশে ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং সার্ভিস (Vehicle Tracking Service in Bangladesh)

Share your vote!


এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
  • Fascinated
  • Happy
  • Sad
  • Angry
  • Bored
  • Afraid

মন্তব্যসমূহ


footer-svg