নিজেই করছেন না তো শখের গাড়িটির সর্বোচ্চ ক্ষতি?

ড্রাইভিং-এ সতর্ক হোন, গাড়ির সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।

 

নিয়মিত তেল পরিবর্তন করা, টায়ার রোটেশন, ড্রাইভ বেল্টের পরিবর্তন…গাড়ির সুরক্ষার জন্য এই ব্যাপারগুলো তো আপনার জানাই আছে। একটা গাড়িকে অনেক বছরের জন্য কর্মক্ষম রাখার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই। কিন্তু আপনি কি জানেন, প্রতিদিনের ড্রাইভিং-এর একটা প্রভাব থাকে গাড়ির স্বাস্থ্যে? সাধারণ ড্রাইভারদের কথা বাদই দিলাম, অনেক দক্ষ ড্রাইভাররাও ড্রাইভিং-এর সময় এমন কিছু ভুল করেন, যেগুলো পরবর্তীতে গাড়িকে ব্যয়বহুল রিপেয়ারিং-এর দিকে নিয়ে যায়। অথচ একটু সতর্ক হলেই গাড়ির দীর্ঘ সুরক্ষা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখা যায়। এই সতর্কতার কিছুটা Vehicle Tracker-এর হাতে দেয়া গেলেও, বেশিরভাগটা রাখতে হবে নিজের কাছেই, যেহেতু বিষয়টা ড্রাইভিং-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। Vehicle tracker ব্যবহার করলেও, দেখে-শুনে  সবচে’ ভালোটাই (Best vehicle tracker in Bangladesh) ব্যবহার করতে হবে।

চলুন, দেখে নেয়া যাক এমন দশটি কমন ড্রাইভিং অভ্যাস, যেগুলো হয়ে উঠতে পারে গাড়ির জন্য খুবই ক্ষতিকর।

১। শিফটারে হাত রাখাঃ

শিফটারে হাত রাখার তেমন কোন প্রয়োজন নেই, যদি না আপনি সক্রিয়ভাবে গিয়ার পরিবর্তন না করেন। শিফটারে হাত রাখার ফলে ট্রান্সমিশন বাশিং এবং সিনক্রোনাইজারের উপর চাপ পড়ে। দুটো হাতই স্টিয়ারিং হুইলে রাখা এবং গিয়ারের জন্য এক হাত ব্যবহার করাই সবচে’ ভালো বুদ্ধি।

২। পার্কিং ব্রেক ব্যবহার না করাঃ

পার্কিং ব্রেক ব্যবহার  না করার ফলে পুরো গাড়ির ওপরেই একটা বাজে প্রভাব পড়ে, বিশেষত পার্কিং পল যন্ত্রাংশটির উপর। ট্রান্সমিশনের ভেতর একটা ছোট্ট পিনের মতো যন্ত্র আছে, যা গাড়ি পার্ক করার সময় হুইলগুলোকে ঘুরতে বাধা দেয়। পার্কিং ব্রেক ব্যবহার না করার ফলে পার্কিং পল দ্রুত ক্ষয় হতে শুরু করে। কাজেই, পার্কিং ব্রেক ব্যবহার না করার কোনো কারণ নেই।

৩। গাড়িতে অতিরিক্ত ভর চাপানোঃ

আপনি হয়তো লোটাস চালান না, কিন্তু ‘গাড়িকে হালকা রাখা’র নির্দেশনা প্রায় সকল গাড়ির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গাড়িতে গান শুনুন, মজা করুন, সবই ঠিক আছে; কিন্তু গাড়ি থেকে অপ্রয়োজনীয় কার্গো সরিয়ে ফেলাই উত্তম। অতিরিক্ত প্রতি পাউন্ড ওজন ফুয়েল ইকোনমি, হ্যান্ডলিং, সাসপেনশন, ব্রেক, ড্রাইভট্রেইন কম্পোনেন্ট- এই সবকিছুর উপর একটা কুপ্রভাব ফেলে।

৪। ফুয়েল ট্যাংকে অল্প পরিমাণে ফুয়েল রেখে গাড়ি চালানোঃ

সবসময় পুরো ট্যাঙ্ক ভর্তি করার টাকা হয়তো আপনার বাজেটে থাকে না। কখনো কখনো ইচ্ছে করেই আপনি এক বা দুই গ্যালন ফুয়েল ভরে ড্রাইভিং-এ নেমে যান। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, পরবর্তী সময়ে এর ফলে গাড়ি সংস্কার করতে হতে পারে। ট্যাঙ্কে অল্প ফুয়েল নিয়ে ড্রাইভিং করলে ফুয়েল ট্যাংক অতি মাত্রায় উত্তপ্ত হয়ে যেতে পারে, এবং দ্রুত এর আয়ু ক্ষয় হতে পারে। তাই ফুয়েল ট্যাংককে অন্তত কোয়ার্টার ফুল রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়ে থাকেন এক্সপার্টরা। আধুনিক vehicle tracker (Prohori, Best vehicle tracker in Bangladesh) আপনাকে ফুয়েল ইকোনমি সম্পর্কে নোটিফাই করবে। তাই vehicle tracker ব্যবহারের মাধ্যমেও এই বিষয়ে সচেতন থাকা যায়।

৫। কষে স্টার্ট দেয়া এবং ব্রেক করাঃ

কখনো কখনো প্রয়োজনে এটা করতে হয়। আবার কখনো নিছক মজা করেই হয়তো করেন। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, এই ড্রাইভিং অভ্যাস কত দ্রুত আপনার গাড়ির ব্রেক প্যাড এবং রোটরকে দূর্বল করে দিচ্ছে? যতটা সম্ভব মসৃণ ড্রাইভিংই গাড়ির সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন। তাই সামনে তাকিয়ে মন দিয়ে ড্রাইভ করাই শ্রেয়।

৬। ক্লাচে পায়ের ভর দিয়ে রাখাঃ

ট্রাফিক সিগন্যালে পড়েছেন। লাল বাতি জ্বলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সবুজ বাতি জ্বলে উঠবে ভেবে ক্লাচে পা দিয়েই রেখেছেন। এইভাবে ক্লাচে পা দিয়ে অপেক্ষার অভ্যাস ক্ষতিকর হচ্ছে গাড়ির প্রেশার প্লেট, রিলিজ বিয়ারিং এবং রিলিজ আর্মের জন্য। বরং সবুজ বাতি জ্বলে উঠলেই ক্লাচে চাপ দিন না। তেমন কোন সমস্যা তো তাতে নেই।

৭। ওয়ার্নিং সাইন আমলে না নেয়াঃ

অনেক সময়ই গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ থেকে বিভিন্ন রকমের শব্দ পাওয়া যায়, যেগুলোকে হয়তো আপনি আমলে নেন না। কিন্তু সেগুলো আসলে বিভিন্ন রকমের গোলযোগের কারণে সৃষ্ট। কোন যন্ত্রাংশ হয়তো বেশি পুরনো হয়ে গেছে, রিপ্লেস করার প্রয়োজন, এরকম ক্ষেত্রেও এরকম শব্দ সৃষ্টি হতে পারে। ভালো করে শব্দের উৎস এবং কারণ নির্ণয় করে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়াই এসব ক্ষেত্রে বুদ্ধিমানের কাজ। Vehicle Tracker ব্যবহার করে আপনি সব ধরণের সমস্যা থেকে উত্তরণ না পেলেও, বিভিন্ন সমস্যায় নানা নোটিফিকেশন পাবেন; যা আপনাকে গাড়ি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

Share your vote!


এই লেখা নিয়ে আপনার অনুভূতি কী?
  • Fascinated
  • Happy
  • Sad
  • Angry
  • Bored
  • Afraid

মন্তব্যসমূহ


footer-svg